ক্রিকেট আম্পায়ার হওয়ার জন্য কী কী যোগ্যতা লাগে জেনে নিন

ক্রিকেট আম্পায়ারিং নিয়ে আমরা অনেক সংশয় প্রকাশ করে থাকি । আপনি যদি আম্পায়ার হতে চান তাহলে এই আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন । 
ক্রিকেটে আম্পায়ার হতে কত বয়স লাগে

এছাড়াও জানতে পারবেন আম্পায়ার হতে কত বয়স লাগে ক্রিকেটে আম্পায়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা,আম্পায়ার ক্রিকেট নিয়ম সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা, ক্রিকেটে আম্পায়ার এর শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা ,ক্রিকেটে আম্পায়ার এর নিরপেক্ষতা ও ধৈর্য , ক্রিকেটে আম্পায়ার এর প্রশিক্ষণ ও সনদ ও ক্রিকেটে আম্পায়ার এর পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ নিয়ে বিস্তারিত

ভুমিকা 

ক্রিকেট একটি জনপ্রিয় খেলা । শুধু খেলোয়ারই না এখান থেকে আম্পায়ার হয়েও টাকা আয় করা যায় । এই আর্টিকেল টি তে আমি আপনাকে জানাবো ক্রিকেটে আম্পায়ার হতে কত বয়স লাগে ক্রিকেটে আম্পায়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা,আম্পায়ার ক্রিকেট নিয়ম সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণাসহ

ক্রিকেটে আম্পায়ার এর শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা ,ক্রিকেটে আম্পায়ার এর নিরপেক্ষতা ও ধৈর্য , ক্রিকেটে আম্পায়ার এর প্রশিক্ষণ ও সনদ ও ক্রিকেটে আম্পায়ার এর পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ নিয়ে বিস্তারিত । 

ক্রিকেটে আম্পায়ার হতে কত বয়স লাগে

আপনি যদি ক্রিকেটে আম্পায়ার হতে কত বয়স লাগে এটা জানতে এই আর্টিকেল টি তে এসে থাকেন তাহলে আপনি সঠিক যায়গায় ক্লিক করেছেন । ক্রিকেটের আম্পায়ার হতে হলে কত বছর বয়স সীমা হওয়া লাগবে তা আন্তর্জাতিকভাবে নির্ধারিত না থাকলেও বেশিরভাগ ভোট কিছু ক্ষেত্রে তা নির্ধারণ করে দেয়। 

ন্যূনতম বয়সসীমা একজন ব্যক্তি আম্পায়ার হতে হলে তাকে কমপক্ষে ১৮ বছর বয়স হওয়া দরকার কারণ আপনি যদি প্রাপ্তবয়স্ক ব্যাক্তি না হন তাহলে আপনি দায়িত্ব পালনে বা প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে অনেক জায়গায় আপনার বাধা হতে পারে। 
যার ফলে আপনি আম্পায়ারিং সম্পূর্ণরূপে করতে পারবেন না এর জন্য আপনার অবশ্যই কমপক্ষে ১৮ বছর বয়স হওয়া দরকার।এতক্ষণ আমি আপনাকে জানালাম ক্রিকেটে আম্পায়ার হতে কত বয়স লাগে এর পরের অংশে আমি আপনাকে জানাবো ক্রিকেটে আম্পায়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত ।

ক্রিকেটে আম্পায়ার শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ

ক্রিকেটে আম্পায়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা কি কি লাগে জানতে নিচে স্ক্রল করন ।
ক্রিকেটে আম্পায়ার হতে হলে খুব বেশি উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন হয় না তবে কিছু নির্দিষ্ট মৌলিক শিক্ষাগত যোগ্যতা অবশ্যই আপনার থাকতে হবে তাছাড়া আপনি আমি তারিখ করতে পারবেন না। 

অবশ্যই শিক্ষাগত যোগ্যতা বাংলাদেশের হিসাব অনুযায়ী অবশ্যই আপনাকে ন্যূনতম এসএসসি অথবা মাধ্যমিক পরীক্ষা থাক দশম শ্রেণির পরীক্ষায় পাস করতে হবে। 

এর সাথে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে যেহেতু ক্রিকেটের নিয়মাবলী ইংরেজিতে লেখা থাকে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রিকেট খেলা হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন দেশের আম্পায়ার বিভিন্ন ভাষায় আম্পায়ারিং করে থাকে এর জন্য ইংরেজি ভাষাটিকে কমন ধরে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় অনেক ভাল দক্ষতা থাকতে হবে। 
এছাড়াও একটি বাড়তি ডিগ্রী বা উচ্চ মাধ্যমিক পাস নাটক ডিগ্রী থাকলে আপনি বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন লিখিত পরীক্ষা ও নিয়ম্বচার ক্ষেত্রে এটি আপনার সহায়ক হবে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আপনি যদি আম্পায়িং করতে চান তাদের জন্য আরও ভালো প্রস্তুতি হিসেবে কাজ করবে।

এতক্ষণ আমি আপনাকে জানালাম ক্রিকেটে আম্পায়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা এর পরের অংশে আমি আপনাকে জানাবো আম্পায়ার ক্রিকেট নিয়ম সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা সম্পর্কে বিস্তারিত।

আম্পায়ার ক্রিকেট নিয়ম সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা

আম্পায়ার ক্রিকেট নিয়ম সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা সঠিক ধারণা থাকতে হবে চলুন আপনাকে জানাই আপনার আম্পায়ার হওয়ার জন্য কি কি সঠিক ধারণা জানা লাগবে।

অবশ্যই আপনাকে ধান যে নিয়ম গুলো সেগুলো একজন আমতা হিসেবে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে তার অংশ হলো আউট হওয়া বল ও আভা সম্পর্কিত নিয়ম ফিল্ডিং এর নিয়ম ব্যাটিং ও রান নেওয়ার নিয়ম ওভারটাইম ও টাইম ওয়েস্টিং এর নিয়ম এবং আম্পায়ার সিগন্যাল অর্থাৎ হাতের ইশারা বুঝতে হবে।
আম্পায়ার ক্রিকেট নিয়ম সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা

এই তথ্যগুলো আপনি পাবেন এমসিসি ল অফ ক্রিকেট এর বই বা গাইড গুলো ভালো করতে পারেন। এছাড়াও আপনি এক্সট্রা দক্ষতা হিসেবে আপনি আইসিসি প্লেয়িং কন্ডিশন নিয়মগুলো পড়ে রাখতে পারেন। এতে করে আপনার অভিজ্ঞতার বাড়াতে পারবেন।

এতক্ষণ আমি আপনাদেরকে জানাচ্ছিলাম আম্পায়ার ক্রিকেট নিয়ম সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা চলুন আর্টিকেলের পরের অংশে আমি আপনাকে জানাই ক্রিকেটে আম্পায়ার এর শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা সম্পর্কে বিস্তারিত।

ক্রিকেটে আম্পায়ার এর শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা

ক্রিকেটে একজন আম্পায়ারের শুধু শারীরিকভাবেই না মানসিকভাবে সক্ষম হতে হয়। মানসিকভাবেও সক্ষম হওয়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ খেলার নিয়ম পালন ও ন্যায্যতা গতি নির্ধারণ বড় ভূমিকা পালন করে। পরে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে

দাঁড়িয়ে থাকার ক্ষমতাঃ একটি টেস্ট ম্যাচ দিনে প্রায় ছয় ঘন্টা বা তার বেশি সময় ধরে চলে যেখানে আম্পায়ার কি একটা না অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাই আপনার আ দাঁড়িয়ে থাকার ক্ষমতা এবং আপনার মাংসপেশি শক্তিশালী হওয়া দরকার না হলে আপনি আম্পায়ারিং করতে পারবেন না।
সচলতাঃ অবশ্যই আপনাকে সচল থাকতে হবে কারণ ফ্রি নাম্বার থেকে প্রায় শহীদ পজিশন পরিবর্তন করতে হয়। কারণ বোলিং যেহেতু দুই এম থেকে হয় এর কারণে একবার মেইন আম্পিয়ার হিসেবে এবং একবার সাইড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হয়। এবং এটি খুব দ্রুত গতিশীলতার সাথে করা প্রয়োজন।

চোখের দৃষ্টি ভালো হওয়াঃ আম্পায়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে চোখের এই দৃষ্টিতে তীক্ষ্ণ হওয়া চাই কারণ বলের গতিবিধি ব্যাটে লাগা না লাগা পেটে বল লাগার সময় কোন জায়গায় লেগেছে ইম্প্যাক আউটসাইড না অফসাইড এগুলো আম্পায়ারকে চোখের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে বুঝতে হয় তাই তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ও দৃষ্টি শক্তি পরিষ্কার হওয়া চাই একজন আম্পিয়ারের।

এছাড়াও একজন আম্পায়ারকে অবশ্যই শারীরিক ফিটনেস ধরে রাখতে হবে তার বয়স যতই হোক না কেন অনেক সময় যেন তিনি মনোযোগ ধরে রাখতে পারেন। চলুন এখন কয়েকটি মানসিক বিষয় সম্পর্কে জানায়

একাগ্রতা ও মনোযোগঃ আম্পায়ারের একটি ভুল সিদ্ধান্ত একটা ম্যাচের গতিপথ বদ বদলে দিতে পারে তাই আম্পায়ারকে প্রতিটি বলের মনোযোগ সহকারে ধরে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

দ্রুত ও সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাঃ বল বেডে লেগেছে, না পেটে লেগেছে রান হাট হয়েছে কিনা এ সকল সিদ্ধান্তগুলো আম্পায়ারকে ১৫ সেকেন্ডের মধ্যেই নিতে হয়। এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার জন্য অবশ্যই নিজেকে নিরপেক্ষ ও নৈতিকতার সাথে নিজেকে আত্মবিশ্বাস থাকা জরুরী বিশেষ করে যখন খেলোয়াড়রা আপত্তি জানাই বা বিতর্ক তৈরি করে।

এতক্ষণ আমি আপনাকে জানাচ্ছিলাম আম্পায়ার ক্রিকেট নিয়ম সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা আর্টিকেল আমি আপনাকে জানাবো ক্রিকেটে আম্পায়ার এর প্রশিক্ষণ ও সনদ সম্পর্কে বিস্তারিত।

ক্রিকেটে আম্পায়ার এর প্রশিক্ষণ ও সনদ

একজন পেশাদার আম্পায়ার হতে হলে সুনির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ ও সনদ থাকা অবশ্যই প্রয়োজন। ক্রিকেট আম্পায়ারের প্রশিক্ষণ সনদ প্রথমে দেশের প্রাথমিক পর্যায়ে স্থানীয় ক্রিকেট বোর্ড ও অ্যাসোসিয়েশন এর কোর্স করতে হয়। 

ক্রিকেটের নিয়ম কানুন মাঠের পজিশন মাঠের পরিচালনা কৌশল মাঠের সংকেত পড়াশোনা করানোর পরে লিখিত ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। উদাহরণস্বরূপ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি এর অধীনে লোকাল আম্পায়ার কোর্স হয় এবং ভারতে বিসিসিআই লেভেল ওয়ান এবং লেভেল টু বামপাশ কোর্স রয়েছে। 
এছাড়াও আন্তর্জাতিক লেভেলে আইসিসি অনুমোদিত সনদপত্র রয়েছে এছাড়াও আইসিসির রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল প্যানেল এ লাইট প্যানেল এবং ইমাজিন আম্পায়ারস প্যানেল ।

প্যানেলে থাকা আম্পায়ার গুলা টেস্ট ওয়ানডে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেন বার্ষিক চুক্তিতে থাকেন এবং আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমন করেন।

এতক্ষণ আমি আপনাকে জানাচ্ছিলাম ক্রিকেটে আম্পায়ার এর প্রশিক্ষণ ও সনদ এরপরে আমি আপনাকে জানাবো ক্রিকেটে আম্পায়ার এর পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

ক্রিকেটে আম্পায়ার এর পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ

বাংলাদেশে এদের পরীক্ষা হয় দুইভাবে একটা হতে লিখিত একটা হচ্ছে ব্যবহারিক। লিখিত পরীক্ষার মধ্যে থাকে হচ্ছে মাঠের সিনারিও প্লেইং কন্ডিশন সংকেত আচরণবিধি ও ক্রিকেটের আইন সম্পর্কে। এগুলো সাধারণত মাল্টিপল কোশ্চেন হয় শর্ট কোশ্চেন হয় এবং সিনারিও বেস্ট কোশ্চেন হতে পারে।
ক্রিকেটে আম্পায়ার এর পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ

এরপরে ব্যবহারিক মূল্যায়ন শুরু হয় মাঠে আম্পায়ারকে দাঁড় করিয়ে মাঠের বাস্তব পরিস্থিতিতেকৃতকার্যতা দেখা হয় বলের সময় কি নির্দিষ্ট কি সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন কি সঠিক সংকেত দিচ্ছেন কিনা এগুলো দেখা হয়। এভাবে একজন আম্পায়ার কে তৈরি করা হয় এবং এভাবে একজন আম্পায়ার তৈরি হতে পারে।

শেষ কথা

এই আর্টিকেলটিতে আমি আপনাকে জানালাম ক্রিকেটে আম্পায়ার হতে কত বয়স লাগেক্রিকেটে আম্পায়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা,আম্পায়ার ক্রিকেট নিয়ম সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা,ক্রিকেটে আম্পায়ার এর শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা ,ক্রিকেটে আম্পায়ার এর নিরপেক্ষতা ও ধৈর্য , ক্রিকেটে আম্পায়ার এর প্রশিক্ষণ ও সনদ ও ক্রিকেটে আম্পায়ার এর পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ নিয়ে বিস্তারিত ।

আপনি যদি আপনার মনে থাকা সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে থাকেন তাহলে এমন কার্যকরি আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিসিট করুন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন । ধন্যবাদ ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url