জানুন সর্দির ঘরোয়া চিকিৎসা ও সর্দি হলে করণীয় সম্পর্কে

যেকোনো সিজনে সর্দি লেগেই থাকে আমাদের প্রায় ।এর জন্যেই জানুন সর্দির ঘরোয়া চিকিৎসা ও সর্দি হলে করণীয় সম্পর্কে ।

এছাড়াও সর্দি হলে করণীয়,সর্দির ঘরোয়া চিকিৎসা,সর্দি হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত,সর্দিতে নাক বন্ধ হলে করণীয় ও এক নাক বন্ধ হলে করনীয়

সর্দি সাধারণত ঋতু পরিবর্তনের সময় বেশি দেখা দেয়। হঠাৎ করে কোনো আবহাওয়া পরিবর্তন হলে সর্দি দেখা দিতে পারে। এটি সাধারণত ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে যুবক, বৃদ্ধ ইত্যাদি সকলের হয়ে থাকে।সর্দির মূল কারণ হলো ভাইরাল সংক্রমণ।

 সর্দি সাধারণত ভাইরাস থেকে সৃষ্টি হয়। ভাইরাসের নাম হলো রিনো-ভাইরাস বা রায়নো ভাইরাস। এই আর্টিকেল টি তে আমি আপনাকে সর্দি হলে করণীয় সর্দির ঘরোয়া চিকিৎসা ও সর্দি হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব - এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনি জানতে পারবেন সর্দিতে কেন নাক বন্ধ হয় এবং সর্দিতে নাক বন্ধ হলে করণীয়।

সর্দি হলে সাধারণত এটি এমনি নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যায়। তবে এর থেকে দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য এখন আমি আপনাকে জানাবো সর্দি হলে করণীয়। সর্দি যেহেতু একটি ভাইরাসের আক্রমণে হয় সেই ভাইরাস টির নাম রাইনো ভাইরাস ।

 ভাইরাসের আক্রমণের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। এর জন্য আপনার যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে আপনার উচিত পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নেওয়া। অবশ্যই আপনার কাজের চাপ কমিয়ে দিতে হবে এবং আপনাকে স্বাভাবিক নিয়মে বিশ্রাম করতে হবে।

সর্দি হলে আমরা অনেকেই পানি পান করতে পছন্দ করি না কিন্তু অবশ্যই আপনার শরীরকে হাইডেড রাখতে পানি পান করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে।অনেক সময় সর্দি হলে আপনার নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে; সর্দিতে নাক বন্ধ হলে করণীয় সম্পর্কে আর্টিকেলের শেষাংশে জানতে পারবেন।

 পানি অথবা ফলের রস খেলে আপনার নাকের মিয়োকোসা গুলো নরম হবে এবং সর্দি বের হতে সাহায্য করবে যা আপনাকে স্বস্তি দেবে। এবং অবশ্যই আপনাকে নারী নিয়মিত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে এবং নিয়মিত স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই ভিটামিন সি খাদ্য তালিকায় অধিক পরিমাণে রাখতে হবে।

 ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে লেবু আমলকি কমলা ইত্যাদি রয়েছে। আপনি লেবুর রস দিয়ে শরবত খেতে পারেন অথবা ভাতের সাথেও লেবু খেতে পারেন এতে করে আপনি সহজেই সর্দি থেকে পরিত্রাণ পেতে পারবেন। যেহেতু এটি একটি ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে সে কারণে আপনাকে অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।

 এক কাপড় বারবার ব্যাবহার করা যাবে না। আপনি যে কাপড় বা নেকড়া দিয়ে আপনার নাক পরিষ্কার করবেন সেটি আপনাকে পরিষ্কার রাখতে হবে এবং প্রয়োজনে টিস্যু ব্যবহার করা সব থেকে উত্তমএবং আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে তবে এখন আমি আপনাকে সর্দির ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।

এতক্ষণ আমি আপনাকে সর্দি হলে করণীয় সম্পর্কে জানাচ্ছিলাম। সর্দি হলে ঘরোয়া ভাবে এমন কিছু ভেষজ ঔষধ বা ফলাফলাদি আছে যা গ্রহণ করলে অত্যন্ত সহজে এবং নিরাপদে আপনার সর্দি ভালো হতে পারে। চলেন তাহলে আমি আপনাকে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাই-

তুলসি পাতাঃ কয়েকটি তো তুলসী পাতা নিন এবং তার সুন্দর করে পরিষ্কার করে পুলিশ নিরাপদ পানি দিয়ে ধৌত করুন এবং তারা বেটে অথবা ব্লেন্ডার করে রস বের করুন তারপরে তার সাথে এক চামচ মধু দিয়ে দিনে তিন থেকে চারবার খেলে আশা করা যায় আপনি সর্দি থেকে মুক্তি পাবেন। অনেকে সর্দিতে নাক বন্ধ হলে করণীয় সম্পর্কে জানতে চান ; কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না তুলসী পাতা খেলেও বন্ধ না আবার আগের মত সুস্থ ভাবে কাজ করে

আদাঃ আদা 3-4 কুচি কেটে নিন তারপরে এটি সুন্দর করে নিরাপদ পানি দিয়ে ধৌত করুন এবং বেটে নিন এবং এর থেকে বের হওয়ার রস এর সাথে এক চা চামচ মধু মিশ্রণ করুন দিনে তিন থেকে চারবার খাওয়ার চেষ্টা করুন আশা করা যায় এর থেকে আপনি সর্দি থেকে মুক্ত হতে পারবেন।

গরম পানিঃ আপনি যদি সর্দি থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে অন্যতম একটি উপায় হলে গরম পানি। গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করলে অথবা গরম পানির সাথে একটু লবণ মিশিয়ে তা দিয়ে ভাপ নিলে সর্দি এবং গলা ব্যাথা থেকে মুক্ত হওয়া যায়।

লেবুর রসঃ লেবুর রস সর্দি থেকে পরিত্রাণ পেতে সাহায্য করে। আপনি যদি দিনে তিন থেকে পাঁচবার গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে শরবত বানিয়ে খান তাহলে আপনি সর্দি থেকে মুক্ত হতে পারবেন।

মশলা চাঃ আপনি জাপানের মাধ্যমে সর্দি থেকে বাঁচতে পারেন। বিশেষ করে মসলা চা যেমন মশলা চায়ের ভিতরে হালকা লবণ হালকা দারুচিনি একটি লং ইত্যাদি দেওয়া থাকলে সেগুলোকে মশলাচা বলা হয়। এই মসলা চা খেলে আপনি সর্দি থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন ।

অনেক সময় সর্দির ক্ষেত্রে এক নাক বন্ধ হয়ে যায় এই আর্টিকেলটি দেয় আমি আপনাকে জানাবো এক নাক বন্ধ হলে করনীয়। তার আগে আর কয়েকটি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনাকে জানাই- সাধারণত এলোভেরা রস খেলেও সর্দি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় অথবা দারুচিনির পেস্ট এর সাথে এক চা চামচ পরিমাণ মধু মিশিয়ে খেলেও থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।

 এই চিকিৎসা গুলো শুধুমাত্র সাধারণ সর্দির ক্ষেত্রে যদি প্রযোজ্য। যদি সর্দি মারাত্মক থেকে মারাত্মক তর পর্যায়ে অর্থাৎ শ্বাসকষ্টে পৌঁছে যায় তাহলে অবশ্যই রেজিস্টার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আগে ওষুধ খেয়ে আপনি ভুল করবেন না তারপরেও চলুন এখন আমি আপনাকে জানাই সর্দি হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।

সর্দি ভাইরার জনিত অসুখ হলেও এর জন্য সাধারণত এন্টিবায়োটি খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না এর জন্যই রেজিস্টার্ড ডাক্তাররা অ্যান্টিবায়োটিক দেন না সর্দির ক্ষেত্রে। এটি দেহ তো ভাইরাস জনিত রোগ সেই কারণে ওষুধে সহজে প্রতিকার হতে চায় না। তারপরেও কয়েকটি প্রচলিত ওষুধ রয়েছে যেগুলো আমরা খেতে পারি এই সম্পর্কে এখন আমি আপনাকে জানাই -

যদি আপনার সর্দি সঙ্গে জড় ও মাথা ব্যথা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্যারাসিটামল খেতে হবে। আপনার যদি এলার্জিজনিত সর্দি হয়ে থাকে যেমন কোন ধুলাবালির কারণে অথবা পুরাতন কোন কিছু পরিষ্কার করতে যে এলার্জি থেকে যে সর্দি গুলো সৃষ্টি হয় সেক্ষেত্রে আপনি আন্টি হিসটামিন টাইপের ওষুধগুলো খেতে পারেন।

যদি কাশি থাকে তাহলে কাশির জন্য আপনি সাধারণত কাশির ওষুধ বা কাশির সিরাপ খেতে পারেন। আর গলা ব্যথা যদি থাকে তাহলে তো আমিও উপরে আপনাকে জানালাম ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে অনুযায়ী আপনি গড়গড়া অথবা গরম পানির ভাব নিতে পারেন। 

যেহেতু সর্দি হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় সে ক্ষেত্রে আপনি ভিটামিন সি ও জিংক পারেন ওষুধ হিসেবে। দীর্ঘস্থায়ী সর্দি, শ্বাসকষ্ট, বা জ্বর বৃদ্ধি পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিজে থেকে ওষুধ সেবন না করে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা সবসময় নিরাপদ। এতক্ষণ আমি আপনাকে জানাচ্ছিলাম সর্দি হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত; এখন আমি আপনাকে জানাবো সর্দিতে নাক বন্ধ হলে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া এটি আমাদের সাধারণ একটি সমস্যা। এটি আমাদের শ্বাস নিতে অনেক অস্বস্তি তৈরি করে। চলুন এখন জানি, সর্দিতে নাক বন্ধ হলে করণীয় কি; সত্যিতে নাক বন্ধ হলে প্রথমে আপনি গরম পানির ভাপ নেওয়ার চেষ্টা করবেন। 

নাক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন এবং সাধারণত হালকা গরম এবং ঠান্ডা পানির মিশ্রণ খান। ঘরের আদ্রতা বজায় রাখুন। আপনি যখন ঘুমাবেন বা বিছানায় শুয়ে থাকবেন তখন অবশ্যই মাথা উঁচু স্থানে রাখার চেষ্টা করবেন। 

হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করার চেষ্টা করবেন এতে করে নাক বন্ধ হওয়া কমে যেতে পারে।নাক বন্ধ হলে নাকের সরিষার তেল দিতে পারেন এতে করে না বন্ধ না খুলে যায়। যদি আপনার নাক ৭২ ঘন্টা বা এর বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকে তাহলে অবশ্যই রেজিস্টার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এখন আমি আপনাকে জানাবো এক নাক বন্ধ হলে করনীয়।

সাধারণত আমাদের সর্দি হলে দুইটি নাক খুব কম সময় বন্ধ হয় প্রায় সময় একটি নাকি বন্ধ হয় এবং মাঝেমধ্যে এমন ঘটনা ঘটতেও দেখা যায় যে একটি নাক বন্ধ হচ্ছে আরেকটি না ভালো থাকছে আবার একটি ভালো থাকলে টি নাক বন্ধ থাকছে । 

সংক্রমণ যদি এলার্জির মাধ্যমে অথবা সাইনোসাইটিসের কারণে হয়ে থাকে তাহলে সমস্যাটি বেশি দেখা দেয়। আপনার যদি ডাননাথ বন্ধ হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি বাম পাশ ফিরে শুয়ে থাকুন। কারণ এটি নাকের রক্তচলা জল ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং আপনার বন্ধ নাক খুলতে সাহায্য করে। 

এক নাক বন্ধ হয়ে গেলে আপনি না বরাবর একদম ভুরু পর্যন্ত মাসাজ করতে থাকুন। আপনার যদি খুব বেশি সমস্যা হয় তাহলে উঠে একটু হাটাহাটি করার চেষ্টা করুন অথবা ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন কারণ এটি শরীরে রক্ত চলাচল ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বন্ধ নাক খুলতে সাহায্য করে।

এই আর্টিকেলটিতে আমি আপনাকে সর্দির ঘরোয়া চিকিৎসা ও সর্দি হলে করণীয় সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন।