গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় - শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায়
পৃথিবীর সকল মা বাবা চাই যেন তার সন্তান সুখে থাকে
ভালো
থাকে । এছাড়াও একটা চাহিদা থাকে যেন সকলের সন্তানই সুন্দর হয়। এই আর্টিকেল টি
মনোযোগ সহকারে পড়লে বাচ্চাদের কিভাবে ফর্সা করবেন জানতে পারবেন ।
এছাড়াও জানতে
পারবেন বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার তেল , গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়
, শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায় ও বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার ক্রিম সম্পর্কে
।
ভুমিকা
গর্ভাবস্থায় হল এমন একটি অবস্থা যেখানে একজন মা তার অনাগত সন্তানের জন্য বেশি
চিন্তিত থাকেন। আমরা মানুষ যেহেতু সুন্দরের পূজারী আমরা চাই যে আমাদের বাচ্চাটি
যেন দেখতে সুন্দর হয়। আমাদের সমাজে অনেক ধরনের অনেক প্রথা রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন
ধরনের খাদ্যাভ্যাস এবং হাটা চলা ইত্যাদির ওপর ডিপেন্ড করে মানুষ ভেবে থাকে।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়। এ
সমস্যাটা সামাজিকভাবে অনেক বেশি প্রচলিত হলেও বিজ্ঞানের সাথে এর কি সম্পর্ক তার
একটি প্রশ্ন আমাদের মনে বা আপনার মনে থেকেই যেতে পারে।
তবে কি সত্যিই এমন কোন খাবার রয়েছে যেগুলো গর্ভাবস্থায় একজন মা গ্রহণ করলে তার
বাচ্চার ত্বকের কোন প্রভাব পরে। এই বিষয়ের সাথে আমি আপনাকে কিছু ত্বক ফর্সা করার
উপায় সম্পর্কে এই আর্টিকেলটিতে জানাবো।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়
শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায় সম্পর্কে প্রত্যেক বাবা-মা সচেতন থাকে। তেমনি একটি
প্রচলিত ভুল ধারণা আমাদের সমাজে রয়েছে যেন গর্ভাবস্থায় খাদ্যাভ্যাসের ওপর
বাচ্চার ত্বকের রং চেঞ্জ হয়। তবে আপনাকে জানিয়ে রাখি এ জিনিসটি হয় বাবা মার
জিনের ওপর ভিত্তি করে।
কোন ধরনের খাবারের প্রভাবে গর্ভাবস্থায়ী বাচ্চার ত্বকের কোন রং পরিবর্তন হয় না।
চলুন প্রথমে আমি আপনাকে প্রচলিত কিছু ধারণা সম্পর্কে জানাই যে কি কি খেলে আমাদের
সমাজে মনে করা হয় যে বাচ্চার ত্বকের রং চেঞ্জ হবে।
প্রচলিত ধারণাঃ বিভিন্ন ধরনের সমাজে বা বিভিন্ন ধরনের রাষ্ট্রে বিভিন্ন ধরনের
সংস্কৃতিতে গর্ভাবস্থায় মাকে কিছু নির্দিষ্ট জিনিস খাওয়ানোর জন্য বেশি উদ্ভূদ্ধ
করা হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
আরো পড়ুনঃ
নবজাতক শিশুর যত্ন কিভাবে নিবেন
১.দুধ ও কেশরঃ আমাদের সমাজে ধারণা করা হয় দুধু কেশর খেলে বাচ্চার গায়ের রং
ফর্সা হয় তা আবার গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন।
২.আমন্ড এবং বাদামঃ যদিও আমল এবং বাদাম গর্ব অবস্থায় একজন প্রসূতি মায়ের জন্য
অনেক পুষ্টিকর এবং গুরুত্বপূর্ণ খাবার। কিন্তু সমাজে এটাকে মনে করা হয় বাচ্চার
রং পরিবর্তনের জন্য একটি উপকরণ বা একটি খাদ্য।
৩. ফলমূলঃ ধারণা করা হয় কিছু কিছু ফল যেমন পেঁপে কমলা ইত্যাদি বাচ্চার দেহের রং
ফর্সা করবে।
বৈজ্ঞানিক বাস্তবতাঃ উপরে আমি আপনাকে আমাদের সমাজের ধারণা সম্পর্কে জানালাম
কিন্তু এখন আমি জানাবো আপনাকে বৈজ্ঞানিক বাস্তবতা এবং এর সত্যতা কতটুকু।
১. জিনগত প্রভাবঃ চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে সন্তানের গায়ের রং বা সন্তানের ত্বক
নির্ভর করে মেলানিন নামক একটি রঞ্জকের ওপর যেটি এক প্রকার প্রোটিন।
এছাড়া চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে আর কোন খাবারের মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় একটি বাচ্চার
ত্বকের কোন ধরনের কোন পরিবর্তন আসতে পারে না। এটি শুধুমাত্র জিম দাড়ায় নিয়ে
নিয়ন্ত্রিত কোন খাবারের এই সামর্থ্য নেই যে গর্ভাবস্থায় কোন বাচ্চাকে তার
ত্বকের রং পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে।
২.স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসঃ তবে গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্যকর ও
পুষ্টিকর খাবার খেলে তার বাচ্চার শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটতে পারে বলে চিকিৎসা
বিজ্ঞান বলে।
কিন্তু কখনো এ স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাসের কারণে যে বাচ্চার ত্বকের রং পরিবর্তন
হবে বা কাকের রং ফর্সা হবে এটি কখনো চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় সঠিক নয়।এতক্ষণ
আমি আপনাকে জানাচ্ছিলাম গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় এখন আমি আপনাকে
জানাবো শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায় ।
আমি আপনাকে জানাচ্ছি বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার তেল , গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা
ফর্সা হয় , শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায় ও বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার ক্রিম
সম্পর্কে ।
শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায়
মানুষ সৌন্দর্যের পূজারী সকলেই চাই যেন তার শিশুর ত্বক ফর্সা হয়ে যাতে করে তাকে
দেখতে সুন্দর লাগে। আর্টিকেলের এই অংশে আমি আপনাকে জানাবো শিশুর ত্বক ফর্সা করার
উপায়।
১. ঘরোয়া ত্বকের যত্নঃ ঘরোয়াও পায়ে শিশুর ত্বকের যত্ন করা যেতে পারে। যেমন
আপনার সহজলভ্য হলুদ এবং দুধের মিশ্রণ দিয়ে কুসুম গরম পানিতে বাচ্চাকে গোসল করাতে
পারেন,এতে করে বাচ্চার ত্বক নমনীয় এবং সুন্দর থাকবে।
বেসন ও দই এর মিশ্রণ তককে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। বাচ্চার ত্বকে ডিপলি ভাবে
ক্লিন করে সুন্দর করে তোলে।
২. সূর্যের রশ্মি থেকে সুরক্ষাঃ সুর্যতে থাকা ইউ ভি রশ্মি বাচ্চার ত্বকের ক্ষতি
করে তুলতে পারে। তবে নির্দিষ্ট একটি সময়ে বাচ্চাকে সূর্যের আলোতে রাখতে
হবে।
আরো পড়ুনঃ
স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায় জানুন
কিন্তু বিশেষ করে সরাসরি সূর্যের আলো শিশুর অনেক ক্ষতি করতে পারে এর জন্য শিশুকে
নিয়ে বাইরে গেলে ভালো মানের নরম কাপড় ব্যবহার করুন অথবা ছাতা ব্যবহার করতে
পারেন তাহলে আপনার শিশুর ত্বক সুরক্ষিত থাকবে।
৩.স্বাস্থ্যকর খাবারঃ যদি আপনার বাচ্চার বয়স ৬ মাস বা তার বেশি হয়ে যায় তাহলে
অবশ্যই বাচ্চাকে স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো শুরু করুন।
ফল শাকসবজি এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির সাথে মায়ের দুধ অবশ্যই রাখতে হবে।
বাচ্চাকে প্রতিদিন অন্তত একটি ডিমের অর্ধেক করে খাওয়াতে হবে তা সিদ্ধ করে।
৪.পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখাঃ আপনার শিশুর ত্বক অন্তত নরম এবং নমনীয় হয়
যাকে সাধারণত সংবেদনশীল বলা হয়। তাই বাচ্চাকে গোসল করানোর সময় একটি বিষয়
খেয়াল রাখতে হবে যাতে করে পানি হালকা কুসুম গরম হয়।
কেমিক্যাল মুক্ত মৃদু সাবান লোশন শ্যাম্পু ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে বাচ্চার
ত্বকের জন্য এবং খেয়াল রাখতে হবে এগুলোর পিএইচ কি ব্যালেন্স আছে কি না। বাজারে
বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার তেল পাওয়া যায় এগুলোর পিএইচ চেক করে নিতে হবে।
৫.ত্বক ময়েশ্চারাইজ করাঃ আপনার শিশুর ত্বক বিশেষ করে বর্তমানে শীতের সময় রুক্ষ
এবং শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এর জন্য আপনাকে পরিমাণ মতো লোশন যেগুলো স্পেশাল ভাবে
শুধুমাত্র বাচ্চাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে সেগুলো ব্যবহার করতে হবে।
আমি আপনাকে জানাচ্ছি বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার তেল , গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা
ফর্সা হয় , শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায় ও বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার ক্রিম
সম্পর্কে ।
যাতে করে আপনার বাচ্চার ত্বক মশ্চারাইজ তাকে। বাজারে বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার
ক্রিম কিনতে পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করে বাচ্চার ত্বক মশ্চারাইজ এবং ফর্সা
করতে পারবেন। শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায় সম্পর্কে একটু পরে আমি আপনাকে জানাবো।
বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার ক্রিম
শিশুর রং সাধারণত প্রতিটা মাসে এবং বয়সের সাথে সাথে পরিবর্তন হতে থাকে। ত্বকের রং
সাধারণত মেলানিন নামের এক ধরনের রঞ্জক প্রোটিন যার মাধ্যমে পরিবর্তন হয়। তবে
বাজারে বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার ক্রিম কয়েকটি পাওয়া যায়। চলুন আমি আপনাকে
বাজারে পাওয়া কয়েকটি বিশ্বস্ত বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার ক্রিম সম্পর্কে জানাই -
১. জনসন বেবি ক্রিমঃ এই ক্রিমটির গুরুত্বপূর্ণ বিশেষত হলো এই ক্রিমটি বাচ্চাদের
ত্বককে নরম ও নমনীয় রাখতে সাহায্য করে।
২. কোডামো ফেস ক্রিমঃ এই কোডোমো ফেস ক্রিমটি স্পেশালি বাচ্চাদের জন্য এবং এটি
বাচ্চাদের ত্বককে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
৩. ডার্মাডিও বেবি ক্রিমঃ সাধারণত শিশুর ত্বকের জন্য এ ডার্মাডিও বেবি ক্রিমটি
ব্যবহার করা হয়ে যা তোকে পরিষ্কার রাখে এবং নরম রাখতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ
হার্টের ব্লক দূর করার উপায়
৪.মাদার কেয়ার বেবি ক্রিমঃ এই ক্রিমটি বাচ্চার ত্বকের জন্য মৃদু এবং সুরক্ষিত।
এই ক্রিমটি বাচ্চাদের ত্বককে পরিষ্কার করতে এবং ফর্সা করতে সাহায্য করে থাকে। এই
ক্রিমটি বাচ্চার ফেস এর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
অনেকে অজ্ঞতাবশত প্রশ্ন করে থাকে গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়। তেমনি
আপনাকেও এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে যেন আপনি আপনার বাচ্চাকে ভুল কোন ক্রিম
লাগিয়ে তার ত্বকের ক্ষতি করছেন কিনা।কোনো নতুন ক্রিম ব্যবহারের আগে শিশুর ত্বকের
একটি অল্প অংশে পরীক্ষা করে নিন।
যদি কোনো খারাপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় বা কালো দাগ পড়ে যায় বাচ্চার ত্বকে তাহলে
অবশ্যই ইউজ করা বন্ধ করে দেন। এতক্ষণ আমি আপনাকে জানাইলাম বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার
ক্রিম বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার তেল সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।
আমি আপনাকে জানাচ্ছি বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার তেল , গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা
ফর্সা হয় , শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায় ও বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার ক্রিম
সম্পর্কে ।
বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার তেল
অনেকেই জানতে চান বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার তেল সম্পর্কে। আর্টিকেলের এই অংশে আমি
আপনাকে জানাবো বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার তেল সম্পর্কে।
১.অলিভ অয়েলঃ তেল বাচ্চার ত্বক মশারাইজ করতে সাহায্য করে এবং বাচ্চার ত্বককে
সুন্দর করে তোলে। এটি শিশুদের জন্য সম্পন্নকে নিরাপদ তেল।
আরো পড়ুনঃ
ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায়
২.নারকেল তেলঃ নারিকেল তেল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। বাচ্চাদের
ত্বকের এলার্জি দূর করতে সাহায্য করে এবং যদি রাসেলের দাগ পড়ে যায় সে দাগ দূর
করতেও নারিকেল তেল সাহায্য করে।
৩.বাদাম তেলঃ বাদামের তেলে থাকে ভিটামিন ই। এই তেলটি ভিটামিন এ সমৃদ্ধ হওয়ার
কারণে ত্বকের পুষ্টি জবাই এবং ত্বকের জন্য অনেক উপকারী।
৪.আয়ুর্বেদিক তেলঃ হিমালয়া বেবি তেল এর মতো আয়ুর্বেদিক তেল শিশুর ত্বকের জন্য
নিরাপদ।
তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রেও একই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আপনার বাচ্চার ত্বকের উপর
ডিপেন্ড করে তেল ব্যবহার করতে হবে।
কিছু সামান্য তেল ত্বকের কোন একটি জায়গায়
লাগিয়ে দেখতে হবে যেতে কোন ক্ষতি হচ্ছে কিনা ক্ষতি না হয় তবে সেই তেলটি ব্যবহার
করতে পারবেন।
আমি আপনাকে জানাচ্ছি বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার তেল , গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা
ফর্সা হয় , শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায় ও বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার ক্রিম
সম্পর্কে ।
শেষ কথা
এই আর্টিকেল টি তে আমি আপনাকে জানিয়েছি বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার তেল , গর্ভাবস্থায় কি
খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় , শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায় ও বাচ্চাদের ফর্সা
হওয়ার ক্রিম সম্পর্কে ।
আশা করি এ আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন এবং এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি
আপনি আপনার মনের ভেতরে থাকা সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এইরকম তথ্যসম্বলিত ও গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে
আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন ভিজিট করুন। ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url