ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম,কোনটি আসলেই কার্যকর?

বাজারে ফর্সা হওয়ার অনেক ধরনের ক্রিম পাওয়া যায়; আপনারা অনেকেই জানতে চান ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম,কোনটি আসলেই কার্যকর? 

এই আর্টিকেল টি তে চলুন জানাই ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম মেয়েদের ও ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি নাইট ক্রিম সম্পর্কে বিস্তারিত।

মহান রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন সব থেকে সুন্দর রূপ দিয়ে। তারপরেও আমরা আমাদের কালো চেহারা নিয়ে অনেক আফসোস করি এবং নিজেকে অভিশাপ বলে মনে করি। তাই আজ আমি আপনাদের সামনে এমন একটি আর্টিকেল নিয়ে এসেছে যে আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম মেয়েদের ও ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি নাইট ক্রিম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।।

ফর্সা হওয়ার জন্য বাজারে অনেক ধরনের অনেক রকমের প্রেম পাওয়া যায় তবে ডাক্তারদের পরামর্শ আঠা সাধারণত যারা ত্বকের ডাক্তার যেমন ডার্মালজিস্ট তারা যে সকল ক্রিম সম্পর্কে আমাদের ব্যবহার করার জন্য সাজেস্ট করে থাকে। চলুন আপনি যদি একজন মেয়ে হয়ে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য এখন আমি জানাবো ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম মেয়েদের সম্পর্কে বিস্তারিত।

১. মেলাড্রাম ক্রিম (Meladerm Cream): এই ক্রিমটি একটি স্ক্রিন বা ত্বক উজ্জ্বল করার একটি ক্রিম যা বাজারে পাওয়া যায়। এটি সাধারনত Civant Skin care নামের একটি কোম্পানি তৈরি করেছে।এই ক্রিম এর কিছু উপকারিতা হলো হাইপারপিগমেন্টেশন কমায়ঃ মেলাজমা, ফ্রেকলস, ডার্ক স্পট এবং ব্রণের দাগ হালকা করতে সাহায্য করে।

ত্বকের টোন সমান করেঃ ত্বকের টোন বলতে ত্বকের দাগ ও উজ্জ্বলতা সমান করে। যাতে আমাদের একাংশ বেশি কালো দেখায় না এবং অন্যক শো বেশি ফর্সা দেখায় না। চেহারা প্রতিটা অংশই সমানভাবে একই কালারের উজ্জ্বলতা প্রদর্শন করে থাকে।

এছাড়া এটিতে প্রাকৃতিক এমন উপাদান দিয়ে তৈরি ওরা হয়ে থাকে যা আমাদের শরীরের বা আমাদের ত্বকের জন্য কোন ক্ষতিকর নয় অন্যান্য সাধারণ ক্রিমে ব্যবহার করা হয় কিন্তু এটাতে ব্যবহার করা হয় না এর জন্য এটি আমাদের শরীরের জন্য খুব একটা ক্ষতিকর নয়।

 এছাড়া ওইটাই তত্ত্বাব মশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে তবে শুষ্কতা কমিয়ে দেয় এবং ত্বকে সুন্দর ও সাবলীল দেখায়। এই প্রেম তের উপাদান সাধারণত Lactic Acid & Licorice Extract, Niacinamide (Vitamin B 3), Vitamin C, Alpha Arbutin,Kojic Acid ইত্যাদি। বাংলাদেশে কসমেটিক্স বা স্কিন কেয়ার পণ্য বিক্রয়কারী নির্ভরযোগ্য অনলাইন শপ থেকে কিনতে হবে। চলুন পরবর্তীতে আরেকটি ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম মেয়েদের ক্রিম সম্পর্কে জানাই।

২.Niacinamide (Vitamin B3): Niacinamide (Vitamin B3) হলো একটি জনপ্রিয় স্কিনকেয়ার উপাদান, যা ত্বক উজ্জ্বল করা, ব্রণের দাগ হালকা করা, অয়েল কন্ট্রোল, এবং ত্বকের টেক্সচার উন্নত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ক্রিমটি সাধারণত ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ত্বকের পিগমেন্টশন কমায়। ডার্ক স্পোর্ট কমাতে সাহায্য করে। ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে।

অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ কমিয়ে ব্রেক আউট প্রতিরোধ করে।ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এছাড়াও ত্বকের আদ্রতা যদি কমে যায় তাহলে তাকে আর্দ্রতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে ত্বকে টানটান করে এতে করে বয়সের ছাপ কমে যায়। এছাড়াও আপনার ত্বকে যদি মেসতা থাকে তাহলে মেসতা দূর করতে সাহায্য করে।

এই ক্রিম টির উপাদান Aloe Vera বা Green Tea Extract, Zinc,Hyaluronic Acid, Niacinamide (Vitamin B3) ইত্যাদি । এটির ব্যবহার বিধি সাধারণত হলো দিনে ও রাতে যে কোন সময় পরিষ্কার মুখে একবার করে লাগাতে হবে। ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি নাইট ক্রিম সম্পর্কে জানতে নিচে স্ক্রল করুন।

৩. The Ordinary Niacinamide 10% + Zinc 1%: The Ordinary Niacinamide 10% + Zinc 1% একটি জনপ্রিয় স্কিনকেয়ার সিরাম, যা বিশেষভাবে ব্রণ, তৈলাক্ত ত্বক, পিগমেন্টেশন, ও বড় স্কিন পোর্স কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি নাইয়াসিনামাইড (Vitamin B3) ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ একটি ওয়াটার-বেসড ফর্মুলা, যা ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করে এবং দাগ হালকা করে। 

এর প্রধান উপকারিতার মধ্যে এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা কমায় টকের দাগ স্পট কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে। ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। আপনার ত্বকের তৈলাক্ততা নিয়ন্ত্রণ করতে ভূমিকা পালন করে। যাদের ত্বকে অত্যন্ত বেশি পরিমাণে ব্রণ থাকে তাদের জন্য একটি দুর্দান্ত একটি সেরাম। ত্বকের রেডনেস ও সংবেদনশীলতা কমায়।

অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। ত্বকের তৈলাক্ততা ভাব কমাতে সাহায্য করে। ব্রণ প্রতিরোধ করে এবং ব্রণের দাগ হালকা ও ছোট করে তোলে। সকালে ও রাতে মুখ পরিষ্কার করার পর ২-৩ ফোঁটা নিন এবং মুখে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন। The Ordinary Niacinamide 10% + Zinc 1% এই ক্রিমটির মূল্য বাংলাদেশী টাকায় সাধারণত ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা হয়ে থাকে।

এটি সাধারণত ফার্মেসিতে অথবা আইসক্রিম কেয়ার রুটিন অনুযায়ী যে সকল দোকানগুলো ব্যবসা করে থাকে তাদের দোকানে পাওয়া যেতে পারে এছাড়া আপনি বিভিন্ন অনলাইন শপে ও পেয়ে যাবেন যেমন Daraz,Sajgoj ইত্যাদি।

 তবে আপনি যদি প্রথমবার ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন বা আপনি এমনটাও করতে পারেন যে আপনি প্রথম সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলেন দ্বিতীয় সপ্তাহে দুইবার তৃতীয় সপ্তাহে তিনবার কোন ক্ষতি না হয় তাহলে আপনি রেগুলার ব্যবহার করতে পারেন। 

এতক্ষণ আমি আপনাকে জানাচ্ছিলাম ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম মেয়েদের সম্পর্কে বিস্তারিত আর্টিকেলের পরের অংশে আমি আপনাকে জানাবো ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি নাইট ক্রিম।

অনেকেই সাধারণত সময়ের অভাবে দিনে কোন ধরনের স্কিন কেয়ার করতে পারেনা এবং আপনি যদি একজন কর্মজীবী হন এবং আপনিও যদি স্কিন কেয়ার না করতে পারেন এর জন্য আপনার জন্য রয়েছে স্পেশাল নাইট ক্রিম। চলুন এখন আমি আপনাকে ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি নাইট ক্রিম সম্পর্কে বিস্তারিত জানাই-

১.Olay Regenerist Luminous Tone Perfecting Night Cream: এমন একটি উন্নত নাইট ক্রিম যা আপনার শরীরের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে এটির খুব একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই যা সকলের দেহের জন্য এটি সুইটেবল। এটির কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হলো এটি ত্বকের গভীরের ডার্ক স্পট দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া এটা ত্বককে গভীর থেকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

 অসমান ত্বকের রঙ সমান করতে সহায়তা করে। ত্বককে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজ করে, ফলে ত্বক নরম ও মসৃণ হয়। সাধারণত এটির ব্যবহার বিধি হলো রাতে সুন্দর করে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পরে মুখ ও ঘারের অঞ্চল পর্যন্ত সম্পূর্ণ জায়গায় এটি লাগাতে হবে। বাংলাদেশ এটি অনলাইন প্লাটফর্ম বিউটি মাইন্ডে পেয়ে যাবেন আপনি 50 মিলি মাত্র ২৫৫০ টাকায়।

২. Neutrogena Rapid Tone Repair Night Cream: ক্রিমটি সাধারণত যাদের জন্য প্রযোজ্য তারা হলো যারা বয়সের ছাপ কমাতে চাচ্ছেন এবং যাদের চেহারায় অনেক পরিমাণে ব্রবন অথবা ব্রণের দাগ রয়েছে তাদের জন্য এই ক্রিমটি অত্যন্ত কার্যকরী ও গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্রিম। 

এটি সাধারণত ত্বকের কোষ পুনরন নির্মাণ করতে সাহায্য করে এবং ত্বককে সজীব করতে সাহায্য করে। কোলাজেনন উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বকে টানটান করে তোলে। ডার্ক স্পট ও হাইপার পিগমেন্টেশন দূর করতে সাহায্য করে।অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা ত্বকের রেডনেস কমায়। ত্বককে গভীরভাবে হাই রেটেড রাখে ত্বকের মসৃণতা ও সজীবতা বৃদ্ধি করে। 

ত্বকের শুষ্কতা ও রুক্ষতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এটির ব্যবহার বিধি হলো রাতে ঘুমানোর আগে আপনি সম্পূর্ণ টক সুন্দর ভাবে পরিষ্কার করুন এবং তারপরে এটি লাগিয়ে রাখুন সকাল অব্দি এবং সকালে ধুয়ে ফেলুন। এটি সাধারণত বাংলাদেশের দ্বারা সাজগোজ ইত্যাদি ওয়েবসাইট গুলোতে পাওয়া যায় এটি ওয়েব সাইটের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দামে পাওয়া যায়। 

সাধারণত বাংলাদেশি মূল্যতে এটা ২৫০০ থেকে চার হাজার পর্যন্ত দামে বিক্রি হয়ে থাকে। আমি আপনাকে জানাচ্ছি ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি নাইট ক্রিম সম্পর্কে চলুন আরেকটি নাইট ক্রিম সম্পর্কে জানানো যাক;

৩. Pond's White Beauty Night Cream: Pond's White Beauty Night Cream এই ক্রিম টি বাংলাদেশ একটি বহুল পরিচিত এবং ব্যবহৃত একটি ক্রিম। এই ক্রিমটিতে সাধারণত থাকে ভিটামিন সি ভিটামিন বি ৩ গ্লিসারিন ও প্রোটো ভিটামিন বি ৩। 

যারা কম দামে একটি ভালো ব্রাইটেনিং ক্রিম করছেন তাদের জন্য এই ক্রিমটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রিম হতে পারে। এই ক্রিমটির উপকারিতা হলো এটি ত্বকের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে, মেলানিন উৎপাদনে নিয়ন্ত্রণ করে যাতে করে ত্বকে ফর্সা দেখায়, ত্বকের টোন সমান করতে সাহায্য করে। 

এছাড়া এটাই ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের টেক্সচার উন্নত করতে সাহায্য করে তাকে উজ্জ্বল ও মসৃণ রাখে ত্বকের রুক্ষতা ও সুস্থতা কমাতে সাহায্য করে থাকে। এটি যাদের বেশি পরিমাণে ব্রণ আছে তাদের জন্য কম ব্যবহার করতে হবে এটির ব্যবহারবিধি সাধারণত হলো এটি রাতে তক পরিষ্কার করে ঘুমানোর আগে এটি লাগিয়ে রাখুন এবং সকালে ধুয়ে ফেলুন। 

এটির দাম বাংলাদেশের সাধারণত ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অনলাইন ওয়েবসাইট এবং বিভিন্ন দোকানে এই পণ্যটি পাওয়া যায়।

এই আর্টিকেল টি তে আমি আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম মেয়েদের

ও ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি নাইট ক্রিম সম্পর্কে বিস্তারিত। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। ধন্যবাদ এতক্ষণ মনোযোগ দিয়ে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য।