পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

আমরা বেশির ভাগ মানুষই খাবার গ্রহণ করি তবে আমরা দেখি না সেটি কি আমাদের জন্যে পুষ্টিকর নাকি ক্ষতিকর। চলুন জানি পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন।
পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

 এছাড়াও ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়,কোন সাবান শরীর ফর্সা করে ও স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ক্রিম সম্পর্কে জানাবো।

ভুমিকা

আমরা সকলেই উজ্জ্বল ও সুন্দর ত্বক চাই কিন্তু উজ্জ্বলতা শুধু ত্বকের উপর থেকেই আসে না উজ্বলতা  ত্বকের ভেতর থেকে আসে। শুধু মাত্র বাইরে যত্ন নিলে যে সুন্দর হওয়া যাবে তা কিন্তু নয় অবশ্যই আমাদের কে ভেতর থেকেও এর যত্ন নিতে হবে। 

তাই চলুন এই আর্টিকেলটিতে আমি আপনাকে জানানোর চেষ্টা করব ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় কোন সাবান শরীর ফর্সা করে ও স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ক্রিম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

মানুষ সকলেই সুন্দরের পূজারী সকলেই সুন্দরকে পছন্দ করে। তাই চলুন আর্টিকেলের এই অংশ আমি আপনাকে ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। চলুন তাহলে শুরু করা যাক-
আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা অনেক টাই নির্ভর করে আপনি কি ধরনের খাবার খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন তার ওপর। ফর্সা ও উজ্জ্বল করতে আমি আপনাকে এখন কয়েকটি খাদ্যের লিস্ট দিব আপনি যদি সে খাদ্যগুলো নিয়মিত ভাবে মেনে চলে খেতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার উজ্জ্বল এবং ফর্সা হবে। চলুন তাহলে আমি এখন আপনাকে কয়েকটি ভিতর থেকে ফর্সা হওয়ার খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত জানাই।

এর জন্য আপনাকে প্রতিদিন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বলতে বোঝায় কমলা, লেবু, আমলকি, পেয়ারা, স্ট্রবেরি, ব্রোকলি ইত্যাদি কোলাজেন তৈরি করে ত্বককে উজ্জ্বল করে। এছাড়াও আপনি ভিটামিন এ সমৃদ্ধ এবং বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করবেন।

ভিটামিন এ ও ভিটা ক্যারোডিন সমৃদ্ধ খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো গাজর, মিষ্টি আলু, পালং শাক, টমেটো যা আপনার ত্বককে ভেতর থেকে ফর্সা করে সুন্দর গড়ে তুলবে। এছাড়া আপনি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারগুলো গ্রহণ করতে পারেন সাধারণত এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার গুলো হলো গ্রিন টি কালোজাম চকলেট ডার চকলেট ইত্যাদি ধরনের খাবার।
ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

এই খাবারগুলো ত্বকের বয়সের ছাপ রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং আপনার পক্ষে গড়ে তোলে উজ্জ্বল এবং সুন্দর হিসাবে। ছাড়াও আপনি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবারগুলো খেতে পারেন ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডের মধ্যে পড়ে বাদাম, চিয়া সিড, মাছ (স্যালমন, টুনা), অলিভ অয়েল যা আপনার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। আরেকটু পরে আমি আপনাকে জানাবো স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ক্রিম সম্পর্কে বিস্তারিত।

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুনঃ শরীর যদি হাইড্রেট না থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার শরীরকে সুস্থ দেখাবে এবং আপনার শরীর অনুজ্জ্বল থাকবে, শরীরকে উজ্জ্বল বা ফর্সা ভাব দেখাবে না এর জন্য আপনাকে দৈনিক অন্তত ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি খাওয়া উচিত। কারণ এই পানি আপনার শরীরের টক্সিন নামক যে বিষক্রিয়ার রাসায়নিক পদার্থগুলো আছে সেগুলোকে দূর করে আপনার ত্বকে সুন্দর এবং উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করবে।

নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃ প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত সকালে ৩০ মিনিট অথবা বিকালে ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন যোগ ব্যায়াম করুন দৌড়াদৌড়ি করুন। এইগুলা করলে আপনার মনও ভালো থাকবে শরীরও ভালো থাকবে এবং মন ও শরীরের সাথে সাথে আপনার ত্বকও ভালো থাকবে।
ভাজাপোড়া ও চিনি থেকে দূরে থাকুনঃ ফুটপাতে বিক্রি হওয়া ভাজাপোড়া খাবার থেকে বা অতিরিক্ত তেলেভাজা ভাষাতে বানানো হলেও সে খাবারটি পরিত্যাগ করা উচিত কারণ এই ভাজাপোড়া তেল খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের ব্রণ বা এ ধরনের অনেক রেস্টরাই তার দেখা দিতে পারে যা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলা থেকে নষ্ট করতে সাহায্য করে এর জন্য আপনার অত্যাধিক পরিমাণে ভাজাপাড়া খাওয়া উচিত নয় এবং ভাজা পড়ার সাথে সাথে চিনি কম খাওয়া উচিত কজন ছাড়া একদমই তিনি খাওয়া উচিত নয় কারণ তিনি আপনার শরীরের ত্বককে শুষ্ক করে দেয় এর জন্য চিনি এবং ভাজাপোড়া থেকে দূরে থাকতে হবে আপনাকে।

দুশ্চিন্তা কমাতে হবেঃ আমাদের চেহারার উজ্জ্বলতা নষ্ট করার অন্যতম কারিগর হল আমাদের দুশ্চিন্তা এর জন্য অবশ্যই আপনাকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত রাখতে হবে এবং আপনার মানসিকভাবে ঠিক রাখতে হবে নিজেকে না হলে আপনি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলবেন।

এতক্ষন আমি আপনাকে জানানোর চেষ্টা করেছি ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত চলুন আটকে গেলে পরের অংশে আমি আপনাকে কোন সাবান শরীর ফর্সা করে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়।

কোন সাবান শরীর ফর্সা করে

তারে অনেক ধরনের সাবান পাওয়া যায় যে সাবানগুলো সাধারণত তাকে ফর্সা করতে সাহায্য করে চলুন আমি এই আর্টিকেলটিকে আপনাদেরকে জানাবো কোন সাবান শরীর ফর্সা করে এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

আমাদের বাংলাদেশের সাধারণত অনেকগুলো শরীর বা ত্বক ফর্সা হওয়ার ক্রিম পাওয়া যায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সাবান হলো-

Kojic Acid Soap: এই সাবানটিতে সাধারণত কোজিক এসিড থাকে যা আমাদের মুখের দাগ এবং কালো কালো ব্রণের দাগগুলো দূর করতে সাহায্য করে। এবং এই সাবানটি আমাদের শরীরকে ও ত্বককে ফর্সা করতে সাহায্য করে তবে অবশ্যই এটি ইউজ করার আগে আপনাকে দেখে নিতে হবে এটি আপনার ত্বকের সাথে সংবেদনশীল কিনা। যদি আপনার ত্বকের জন্য সংবেদনশীল না হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে এটা ব্যবহার করা যাবে না।
DR. DAVEY Papaya Whitening Soap: ডেভে পাপায়া ওহাটেনিং সাবান বাংলাদেশের বহুল আলোচিত এবং বহু বিখ্যাত একটি সাবান এই সাবানটি ত্বকে এবং মুখে ব্যবহার করা যায়। এই সাবানটিতে থাকে পেঁপের নির্যাস যা আমাদের শরীরের ভিতর থেকে কালো কালো দাগ ব্রনের দাগ ব্রণের ক্ষত ব্ল্যাকহেড সূর্যে পড়ে যাওয়ার রশ্মি থেকে যে দাগ সৃষ্টি হয় সেই দাগ দূর করতে সাহায্য করে এবং আমাদের ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে।

Saffron Goat Milk Soap: জাফরান ও ছাগলের দুধের মিশ্র মেয়ে তৈরি হয়েছে সাবানটি। এই সাবানটি আমাদের ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে কারণ এই সাবানে রয়েছে এমন একটি গুন যেটি আমাদের ত্বককে পাঁচ থেকে সাতটি স্তরের উজ্জ্বল করতে পারে এবং ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। আমি আপনাকে জানাচ্ছি কোন সাবান শরীর ফর্সা করে। চলুন আরো একটি সাবান সম্পর্কে জানায় যে সাবানটি ত্বক ফর্সা করে।

Glutathione Soap: এ সাবানটিতে গ্লুটাথিওন মিশ্রণ থাকে এই সাবানটি আমাদের ত্বকে ও আমাদের মুখ কে ফর্সা করতে সাহায্য করে আপনি যদি এ এ সাবানটির রেগুলার ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই আপনি একজন উজ্জ্বল চেহারার অধিকারী হবেন। চলুন এখন আমি আপনাকে সাবান ব্যবহারের কয়েকটি নিয়ম সম্পর্কে জানায়-

অতিরিক্ত হার্ড বা কেমিক্যাল যুক্ত সাবান ব্যবহার না করা ভালো।সাবান ব্যবহারের পর ময়েশ্চারাইজার লাগানো জরুরি, যাতে ত্বক শুষ্ক না হয়। প্রতিদিন ২ বার (সকালে ও রাতে) সাবান দিয়ে গোসল করলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।

অবশ্যই এই সাবানগুলো ব্যবহার করার আগে আপনি একজন বিশেষজ্ঞ ডার্মা লজিস্টের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করবেন।এতক্ষণ আমি আপনাকে জানানোর চেষ্টা করেছি কোন সাবান শরীর ফর্সা করে চলুন আর্টিকেলের পরের অংশ আমি আপনাকে জানাই স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ক্রিম সম্পর্কে বিস্তারিত।

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ক্রিম

আমরা সকলেই চাইতে হয় ফর্সা হতে কিন্তু আমরা আসলে সঠিক উপায়টি জানতে পারি না যে কিভাবে কি ব্যবহার করলে আমরা সঠিকভাবে বাইস্থায়ীভাবে ফর্সা হতে পারব আর্টিকেলের এই অংশে আমি আপনাকে জানানোর চেষ্টা করি স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ক্রিম সম্পর্কে বিস্তারিত। বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ক্রিম পাওয়া যায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি ক্রিম হল।
স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ক্রিম


OSUFI Whitening Body Cream: এই অসুখী হোয়াইটেনিং বডি ক্রিম দ্বারা দাবি করে তাদের এই ক্রিমটি সাত থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সমস্ত বডি এবং সমস্ত দেহকে ফর্সা করে তোলে। তবে এটি মাখার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে অনেকের ক্ষেত্রে এটি ট্রফি অ্যালার্জি বা র‍্যাশ র‍্যাশ ভাব বা ব্রণ তৈরি করতে পারে। আপনার ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এর জন্য এটি মাখার বা ব্যবহার করার আগে অবশ্যই আপনাকে আপনার ত্বক সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে তারপরে ব্যবহার করতে হবে।
Dubai Cream: এই দুবাই ক্রিম এরাও দাবি করে এদের এই ক্রিমটি ব্যবহার করলে আপনার শরীর ঢাকা মেছতা বা কালো দাগ সম্পূর্ণরূপে দূর হয়ে যাবে। তবে এটি কেমন কার্যকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি। আপনি যদি এই সকল ক্রিম গুলো ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন তারপরে এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করবেন। আর্টিকেল টি তে আমি আপনাকে বিস্তারিত জানিয়েছি ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়।

শেষকথা

এই আর্টিকেল টি তে আমি আপনাদের কে জানানোর চেষ্টা করেছি ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়,কোন সাবান শরীর ফর্সা করে ও স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ক্রিম সম্পর্কে বিস্তারিত। আশা করি এই আর্টিকেল টি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। ধন্যবাদ এতক্ষণ মনোযোগ দিয়ে সম্পূর্ণ আর্টিকেল টি পড়ার জন্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url