বাংলাদেশে আখরোট কোথায় পাওয়া যায় বিস্তারিত জানুন

আখরোট, এই বাদামটি সাধারণত শীতপ্রধান দেশগুলোতে উৎপাদিত হলেও, বর্তমানে বাংলাদেশেও এর চাহিদা অনেক বেড়েছে । এটি অনেক উপকারী ফল আমাদের শরিরের জন্যে তবে এটি বাংলাদেশে তেমন পাওয়া যায় না তাই বিস্তারিত জানুন বাংলাদেশে আখরোট কোথায় পাওয়া যায়।
বিস্তারিত জানুন বাংলাদেশে আখরোট কোথায় পাওয়া যায়

এছাড়াও আখরোট এর স্বাদ কেমন,আখরোট খাওয়ার নিয়ম,আখরোট খাওয়ার সময়,আখরোটের উপকারিতা ও অপকারিতা ও বাংলাদেশে আখরোট কোথায় পাওয়া যায় এই সকল তথ্য জানতে সম্পুর্ণ আর্টিকেল টি পড়ুন ।  

ভুমিকা

আখরোট বাদাম একটি সুপারফুড হিসেবে পরিচিত। আখরোট বাদাম পুষ্টি গুনে পরিপূর্ণ এবং সুস্বাস্থ্যকর একটি খাবার। এটি প্রায় বিশ্বের সকল দেশেই অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এর পুষ্টি ও গুণের কারণে। এ আখরোট বাদাম বাংলাদেশেও পাওয়া যায়।

 এই আর্টিকেলটি তে আমি আপনাকে আখরোটের উপকারিতা ও অপকারিতা সহ বাংলাদেশে আখরোট কোথায় পাওয়া যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাবো।

আখরোট এর স্বাদ কেমন

আমাদের দ্রুতগতির জীবনে আমাদের স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাসের মধ্যে আখরোটকে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি সহজেই আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় জায়গা করে নিতে পারে। চলুন এখন জানি আখরোট এর স্বাদ কেমন- আখরোটে স্বাদ বিভিন্ন ধরনের সাধারণ বাদামের থেকে অনেকটাই ভিন্ন প্রকৃতির হয়ে থাকে। 

এটি বাংলাদেশে পাওয়া যায় যে মাখন সে মাখন এর মত আবার এটাতে কিছু পরিমাণে তিক্ত ভাব থাকে। আখরোট সাধারণত খোসা ছাড়িয়ে খেতে হয়। আখরোট কাঁচা অবস্থায় এক ধরনের স্বাদ ভাই আবার ভালো অবস্থায় আরেক ধরনের স্বাদ দিয়ে থাকে। 
 কাঁচা আখরোটের স্বাদ টি হয় প্রাকৃতিক এবং একটু ভিন্ন ধরনের। কিন্তু ভাজা আখরোটের স্বাদ একটু গাড় হয় এবং একটু মিষ্টি টাইপের হয়। আখরোট বিশেষ করে সালাদ ও ডেজার্ট এর মাধ্যমে পরিবেশন করা হয়; যা খাবারের স্বাদ গুণ ও পুষ্টিমান বৃদ্ধি করে। চলুন এখন আমি আপনাকে জানাই আখরোট খাওয়ার নিয়ম।

আখরোট খাওয়ার নিয়ম

তখন আমি আপনাকে জানাচ্ছিলাম আখরোট এর স্বাদ কেমন। আখরোট খাওয়ার নিয়ম মেনে খেলে এটি আপনার শরীরকে সুস্থ ও স্বাভাবিক লাগবে সাহায্য করবে। অন্যথায় আপনি যদি অনিয়মিতভাবে আখরোট খাওয়া শুরু করেন তাহলে অবশ্যই সেটি আপনার শরীরের ক্ষতি করবে।

 আখরোট খাওয়ার প্রথম সত্যই হলো আপনাকে প্রতিদিন মাত্রা নির্ধারণ করা। আপনি প্রতিদিন কয়টা করে আখরোট বাদাম খেতে চান এটি আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে দিয়ে রেগুলার সে পরিমাণ বাদাম খেতে হবে তবে আখরোট বাদাম রেগুলার দুইটি থেকে চারটি অব্দি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

 আখরোট কাঁচা অবস্থায় খেতে পারলে এর সম্পূর্ণ পুষ্টি গুণ পাওয়া যায় যা অবশ্যই শরীরের জন্য উপকারী। আখরোট রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে এটি সহজে হজম হয় এবং পুষ্টি গ্রহণ ভালো হয়। ভিজিয়ে খাওয়া আখরোট শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।

আখরোটকে বিভিন্ন স্নাক্স,সালাদ এটাদের সাথে মিশ্রণ করে খাওয়া যেতে পারে এটি খাবারের যেমন স্বাদ বৃদ্ধি করে তেমনি এটি গুণ বৃদ্ধি করে। যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে অথবা আপনি যদি হৃদরোগের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার ডাক্তার অথবা যে কোন রেজিস্টার ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আখরোট বাদাম খাওয়া শুরু করবেন।

 কারণ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ডায়াবেটিস এবং হৃদ রোগীদের জন্য আখরোট সুফলের চেয়ে বেশি কুফল ভয়ে নিয়ে আসে। আখরোট একটি ভারী খাবার হওয়ার কারণে সাধারণত ডাক্তারেরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন যেন একটি খালি পেটে না খাওয়া হয় কারণ খালি পেটে খেলে এটি অনেক সময় হজমে সমস্যা অথবা কোষ্ঠকাঠিন্যে পরিণত হতে পারে।

এর জন্য সকালে খালি পেটে আখরোট বাদাম খাওয়া উচিত নয়। এতক্ষণ আমি আপনাকে জানাচ্ছিলাম আখরোট খাওয়ার নিয়ম চলুন এখন আমি আপনাকে জানাবো আখরোট খাওয়ার সময় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

আখরোট খাওয়ার সময়

আখরোট খাওয়ার সঠিক অভ্যাস ও সময়সূচি আপনার জীবনের বিশাল এক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। যা আপনার শরীরের সুস্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে;তবে সর্বোত্তম পুষ্টিগুণ বিচার করে নিচে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী যদি আপনি আপলোড পেতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য উপকারী হবে -

সকালের নাস্তা সঙ্গে আখরোট বাদাম খাওয়া খুবই উপকারী। কারণ এটি দিন শুরুর শক্তি যোগায় এবং সারাদিন শরীরকেও আপনার মস্তিষ্ককে তৃপ্তি দিয়ে থাকে। আপনি সকালে যেমন আখরোট খেতে পারেন এর সাথে তেমন বিকেলে আপনি দূরে থেকে চারটি আখরোট খেতে পারেন সন্ধ্যাবেলার স্ন্যাকস হিসেবে।
আখরোট খাওয়ার সময়

বিকেলে সাধারণত ক্ষুধা মেটানোর জন্য যদি স্নেকস খেয়ে থাকেন তাহলে এটা আপনার জন্য অনেক উপকারী হবে কারণ এটি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। আপনি যদি এই দুই সময়ে আখরোট বাদাম খেতে না পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি রাতে ঘুমানোর আগে একটি থেকে দুইটি আখরোট বাদাম খেয়ে ঘুমাতে পারেন কারণ বাদামে থাকে মেলাটোনিন নামক এক ধরনের পদার্থ।
এই মেলাটোনিন এমন এক ধরনের পদার্থ যা আপনার ঘুমের মান উন্নত করবে এবং আপনার শরীরকে আরামদায়ক করে গড়ে তুলবে। আপনি ওয়ার্ক আউট এর আগেই অথবা পরেও বাদাম খেতে পারবেন। কারণ আগে আখরোট বাদাম গ্রহণ করলে তা আপনার শরীরকে শক্তি যোগাবে;এবং ব্যায়াম শেষে আখরোট বাদাম গ্রহণ করলে তা আপনার বেশি কে শক্তিশালী করে গড়ে তুলবে।

উপরের নিয়ম কারণগুলোকে যদি আপনার সমস্যা হয় তাহলে আপনি মধ্যাহ্ন ভোজের পরেও আখরোট খেতে পারবেন। মধ্যহ্নভোজের পরে আখরোট খেলে আপনার শরীরের হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পাবে। তবে কয়েকটি সতর্কতা হলো খাওয়ার সময় কাঁচা আখরো অথবা ভেজানো কাঁচা আখরোট খাওয়া সবচেয়ে বেশি উপকারী এবং কখনো অতিরিক্ত পরিমাণে আখরোট বাদাম খাওয়া উচিত নয় কারণ এতে সুফল এর চেয়ে কুফল বয়ে নিয়ে আসতে পারে। 

বাংলাদেশে আখরোট কোথায় পাওয়া যায় তা জানতেন নিচে স্ক্রল করুন। এতক্ষণ আমি আপনাকে জানাচ্ছিলাম আখরোট খাওয়ার সময় সম্পর্কে। এখন আমি আপনাকে জানানোর চেষ্টা করব আখরোটের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

আখরোটের উপকারিতা ও অপকারিতা

আখরোট পুষ্টিগুণের সম্পন্ন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে পরিচিত। প্রতিটা জিনিসেরই যেমন উপকারিতার সাথে অপকারিতা রয়েছে তেমনি আখরোট বাদামের উপকারিতা অনেক বেশি সাথে এর অধিক বা অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে কিছু উপকারিতা ও দেখা দিতে পারে চলুন এখন আমি আপনাকে জানানোর চেষ্টা করি আখরোটের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।

আখরোটের উপকারিতাঃ আখরোট মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, আখরোটে থাকা এন্ডিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনাল মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং আপনার স্মৃতি শক্তিকে বাড়াতে সাহায্য করে । 

 আর ইচ্ছা শাস্ত্রের উন্নতিতে আক্রম অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কারণ আখরোটে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফাটি এসিড যা হৃদ রোগের ঝুঁকি কমায় কোলেস্টেরল পরিষ্কার করার মাধ্যমে। আখরোটে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম থাকার কারণে এটি আমাদের শরীরের পেশি শক্তি এবং হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 

আখরোট বাদামে মেলাটোনির নামে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা আমাদের শরীরের ঘুমকে নিয়ন্ত্রণ করে এই মেলাটোনিন আমাদের শরীরের ঘুমকে ভালো করে ও উন্নত করে এবং শরীরকে আরাম দেয়। 

আখরোট খেলে ত্বক ও চুল উজ্জ্বল হয় কারন আখরোট ভিটামিন এই সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে আপনি আপলোড খাওয়ার ফলে আপনার শরীর অনেকটা উজ্জ্বল হবে এবং চুল ঘন কালো হবে। আখরোটে থাকে প্রোটিন ও ফাইবার যার কারণে আপনার পেট অনেকক্ষণ ভোরে থাকে এবং ক্ষুধা লাগে না এর কারণে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
আখরোটের উপকারিতা ও অপকারিতা

 আখরোট রক্তের সরকার আর মাত্র কমাতে সাহায্য করে বিশেষ করে টাইপ টু ডায়াবেটিস কমাতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে আখরোট বাদাম। এতক্ষণ আপনাকে আখরোটের উপকারিতা সম্পর্কে জানাচ্ছিলাম চলুন এখন কয়েকটি অক্ষরের অপকারিতা সম্পর্কে জানাই-

আখরোটের অপকারিতাঃ আখরোট যেমন ওজন কমাতে সাহায্য করে আবার অনেকের ক্ষেত্রে ওজন বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে কারণ আক্রোটে কিছু পরিমাণ ফ্যাট রয়েছে যারা ফ্যাট মানুষদের খেলে সহজেই তোর শরীরের চর্বি জমা হয় এবং যারা মোটা হতে শুরু করে। 
আখরোট বেশি পরিমাণে খেলে আখরোট কিডনিতে পাথর হতে সাহায্য করে কারণ আখরোট এ রয়েছে অক্সালেট। আখরোটে থাকা কিছু প্রোটিন অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে এর জন্যই আখরোট খেলে ছোট ছোট এলার্জি দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে অ্যালার্জি সাথে সাথে শ্বাসকষ্ট ও গলা ব্যথা ও দেখা দিতে পারে।

 এছাড়াও আখরোট পাচনতন্ত্রের সমস্যা করতে পারে। এর জন্যই আমাদের উচিত সঠিক পরিমাণে ও সঠিক নিয়মে আখরোট বাদাম খাওয়া। চলুন এখন আমি আপনাকে জানাই বাংলাদেশে আখরোট কোথায় পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে আখরোট কোথায় পাওয়া যায়

বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এখন শহর থেকে গ্রামে সকল জায়গায় এখন আখরোট বাদাম পাওয়া যাচ্ছে। ঢাকা রাজশাহী চট্টগ্রাম খুলনা সিলেটে ইত্যাদিতে সুপার শপ অর্থাৎ আমানা বিগ বাজার, স্বপ্ন, ইত্যাদি ধরনের সুপার শপ গুলোতেও আখরোট বাদাম পাওয়া যায়।

 এছাড়াও বিভিন্ন অনলাইন মার্কেট প্ল্যাটফর্মেও আপনি আখরোট বাদা অর্ডার করতে পারবেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দারাজ, ঘরের বাজার, রকমারি সহ এ ধরনের আরো যে অনলাইন প্লাটফর্ম গুলো আছে তা থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।
 এছাড়াও আপনি বাজারে ফল ব্যবসায়ীদের দোকান থেকে আপলোড সংগ্রহ করতে পারবেন। আখরোট কেনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হলো- আখরোট কেনার সময় কাঁচা ভালো মানের আখরোট কিনুন অন্যান্য দোকানের থেকে মূল্য নির্ধারণ দেখে তারপরে কিনুন পারলে আপনার বিশ্বস্ত দোকান থেকে কেনার চেষ্টা করুন।

শেষ কথা

এই আর্টিকেলটিতে আমি আপনাকে জানানোর চেষ্টা করেছি আখরোট খাওয়ার নিয়ম এবং আখরোটের উপকারিতা ও অপকারিতা সহ বাংলাদেশে আখরোট কোথায় পাওয়া যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি আপনার মনে সকল প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url