না পড়ে কিভাবে পরীক্ষায় পাশ করব - পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায়
আমাদের অনেকের ক্ষেত্রে এ বিষয়টা হয়ে যায় যে সারা বছর আমরা পড়ি না তবে
পরীক্ষার আগের রাতে বা আগের সময় আমাদের এসে
মস্তিষ্কে ভর করে
পরীক্ষার চিন্তা। তবে এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনার সেই চিন্তা আর থাকবে না কিভাবে
অল্প পরড়েপাস করতে পারবেন সেই বিষয়ে জানাবো এই আর্টিকেল টি তে এর জন্য আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।
এছাড়াও আরো জানতে পারবেন পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় ও না পড়ে কিভাবে
পরীক্ষায় পাশ করব কিভাবে ?
ভুমিকা
পরীক্ষা এই কথাটি শুনলে অনেক শিক্ষার্থীর মনে
হতাশা এবং ভয়ের
সৃষ্টি হয় ছোটবেলা থেকে একদম জীবনের শেষ পরীক্ষা পর্যন্ত মানুষের এই ভয়টি থেকে
যায়। তবে তাই বলে তো আমাদের থেমে গেলে চলবে না প্রতিটা পদক্ষেপেই আমাদেরকে
পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। অনেক শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করে থাকেন -
👉 “পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় কী?”
👉 “না পড়ে কি পরীক্ষায় পাশ করা সম্ভব?”
👉 “পরীক্ষায় ভালো করার জন্য কোনো দোয়া আছে কি?”
আরো পড়ুনঃ স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায় জানুন
চলুন এই আর্টিকেলের পরের অংশটুকু তে বাস্তব অভিজ্ঞতা পড়াশোনার কৌশল ও মানসিক
প্রস্তুতি সহ ইসলামিক দোয়া সবকিছু মিলিয়ে আলোচনা করি।
পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায়
শিক্ষাজীবনের প্রতিটি স্তরে পরীক্ষা শব্দটি একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে থাকে
আমাদের প্রত্যেকের জীবনে। এটি কেবল একটি শিক্ষার্থীর খাতা ও কলমেরি যুদ্ধ নয় এর
সাথে থাকে মানসিক প্রস্তুতি মেধা এবং আত্মবিশ্বাসের প্রস্তুতি।
যাদের মানসিক প্রস্তুতি ও আত্মবিশ্বাস বেশি থাকে তারা এই পরীক্ষায় সফলকাম হয়।
যেহেতু আমাদের সমাজে ভালো রেজাল্ট না করলে ভালো ছাত্র হিসেবে গণ্য করা হয় না এর
জন্যই প্রত্যেকটি ছাত্রের পরীক্ষার সময় একটি মানসিক চাপ সৃষ্টি হয় যেটা তার
জন্য খুবই খারাপ একটি প্রভাব ফেলে তার স্বাস্থ্য তার মাথা এবং তার পড়াশোনার
উপর।
পরীক্ষায় ভালো করার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে শ্রেণীকক্ষে মনোযোগী
হওয়া চলুন এখন আমি আপনাকে শ্রেণীকক্ষে মনোযোগী হওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানাই-
শ্রেণিকক্ষে মনোযোগী হওয়ার উপকারিতা
একজন শিক্ষার্থী যদি বাসায় পড়াশোনা না করার পরেও যদি সে শ্রেণীকক্ষে মনোযোগ
দেয় অর্থাৎ তার শিক্ষক কি পড়াচ্ছেন এবং কি বলছেন এই বিষয় গুলো যদি একজন
শিক্ষার্থী খুব ভালোভাবে এবং মনোযোগ সহকারে শোনে তাহলে বাসায় এসে তার খুব একটা
কষ্ট করে পড়াশোনা করা লাগেনা।
এর জন্য একটি শিক্ষার্থীর উচিত প্রতিদিন তার শিক্ষকের পড়াগুলো মনোযোগ সহকারে
শোনা যদি ক্লাসে না বুঝতে পারে তাহলে সরাসরি প্রশ্ন করে বুঝে নেওয়া।
আরো পড়ুনঃ ব্রেন ঠান্ডা রাখার ইসলামিক উপায়
পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হচ্ছে প্রত্যেকটি পড়া
বুঝে বুঝে পড়া। চলুন আমরা এখন বুঝে বুঝে পড়ার গুরুত্ব সম্পর্কে জানি -
বোঝা বুঝে পড়ার গুরুত্ব অনেক বেশি কারণ আমরা যদি মুখস্ত করে পড়ি তাহলে সে
জিনিসটা খুব তাড়াতাড়ি আমরা ভুলে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে কিন্তু যেই জিনিসটা আমরা
বুঝি তাহলে সে জিনিসটা আমাদের আর পড়ারও দরকার হয় না আমরা যদি বুঝতে পারি তাহলে
সে জিনিসটি বানিয়েও লেখা যায়।
আপনাকে জানাচ্ছি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় ও না পড়ে কিভাবে পরীক্ষায়
পাশ করব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
আপনি যখন বুঝে পড়বেন তাহলে তখন এই জিনিসটা অনেকদিন আপনার মাথায় থাকবে। পড়ার
সময় নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করুন এটা কিসের জন্য হচ্ছে এটা কেন হচ্ছে এটা কিভাবে
হলো।
এছাড়াও গল্পের মত করে যদি বিষয়টি আপনি মুখস্ত করতে পারেন তাহলে বিষয়টি আরো সহজ
হয়ে যাবে সেই জিনিসটি অন্যকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করুন আপনি যদি অন্যকে একই
জিনিস বারবার বুঝতে থাকেন তাহলে নিজেও আরো ভালো বুঝে যাবেন।
পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার
আরেকটি সঠিক কৌশল
হচ্ছে লক্ষণ নির্ধারণ করা-
নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করুন-
- আমি এই পরীক্ষায় কত রেজাল্ট করতে চাই
- কোন সাবজেক্টে আমি একটু বেশি দুর্বল
- সাজেশন এবং বই খুঁজে বের করুন যে কোন অধ্যায় গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ
এরপরে আপনি পড়া রুটিন তৈরি করুন রুটিন ছাড়া পড়াশোনা সাধারণত খুব একটা ভালো হয়
না আর একটি ভাল রুটিন তৈরি করলে অবশ্যই আপনার পড়াশোনার মান বৃদ্ধি পাবে।এই
রুটিনের বৈশিষ্ট্য হতে পারে -
- প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন সময় মত পড়ে নেওয়া
- কঠিন বিষয় গুলো রাতে না পড়ে সকালে পড়া বিশেষ করে ভোরেরপরে
- হালকা বিষয়গুলো সন্ধ্যার পরে অর্থাৎ রাতে পড়ো
- প্রতিদিন পড়া শেষে ডিভিশনের জন্য সময় রাখা
এভাবে যদি আপনি নিয়ম মত
আপনার পড়াশোনা
গুলো চালিয়ে যেতে পারেন তাহলে অবশ্যই ইনশাল্লাহ আপনি ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন।
আপনাকে জানাচ্ছি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় ও না পড়ে কিভাবে পরীক্ষায়
পাশ করব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
শুধু পড়াশোনা করলে হবে না এর সাথে আপনাকে লেখার প্র্যাকটিস করতে হবে প্রতিদিন
অন্তত ১ ঘন্টা আপনাকে নিয়মিত লিখতে হবে যা আপনি ঘড়ির সময় দেখে লিখবেন যাতে
আপনি ওই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারছেন কিনা।
এছাড়াও আপনি চোখ বন্ধ করে রিভিশন দেওয়ার চেষ্টা করবেন দিয়ে দেখবেন যে আপনার
পড়াগুলো মুখস্ত হচ্ছে কিনা বা মনে আসছে কিনা এটা কি পড়াশোনার রিভিশন বলে। আপনার
কোন সহপাঠী বা বন্ধুকে ওই পড়াটি বুঝিয়ে বলুন নিজের ভাষায় নিজের মত করে
পড়াশোনার চেষ্টা করুন।
এরপরে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে স্বাস্থ্য ও ঘুমের গুরুত্ব আপনি যদি সুস্থ
না থাকেন তাহলে আপনি ভালোমতো পড়াশোনা করতে পারবেন না এবং আপনার রেজাল্ট খারাপ
হবে এর জন্য প্রতিদিন আপনাকে অন্তত ছয় থেকে সাত ঘন্টা ঘুমাতে হবে
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে এবং আমরা যে ভুলটা করে থাকি যে অনেক রাত জেগে
পড়ি এটা ঠিক না অনেক রাত জেগে পড়া যাবে না রাতে অল্প সময় পড়ে সকালে
তাড়াতাড়ি উঠে সকালে পড়তে হবে।
এতক্ষন আমি আপনাকে জানাচ্ছিলাম পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় সম্পর্কে
বিস্তারিত আর্টিকেলের পরের অংশ আমি আপনাকে জানানোর চেষ্টা করব না পড়ে কিভাবে
পরীক্ষায় পাশ করব ।
না পড়ে কিভাবে পরীক্ষায় পাশ করব
অনেকে সারা বছর পড়েও তার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করতে পারে না কিন্তু আবার অনেকে
অল্প পরিশ্রম করে রেজাল্টে বাজিমাত করে ফেলে এর মূল কারণ হচ্ছে পরীক্ষায় ভালো
করতে শুধু বই মুখস্ত না এর জন্য প্রয়োজন বৈজ্ঞানিক কৌশল এবং আপনার মানসিক ও
শারীরিক সুস্থতা।
অনেকেই জানতে চেয়েছেন না পড়ে কিভাবে পরীক্ষায় পাশ করবেন। এটার উত্তর হচ্ছে
একেবারেই না পড়ে পরীক্ষায় পাশ করা সম্ভব না তবে এখন আমি আপনাকে কয়েকটি
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানাবো যে বিষয়গুলো জানলে আপনি খুব অল্প পড়াশোনা করে অর্থাৎ
অল্প পরিশ্রম করে ভালো রেজাল্ট অর্পণ করতে পারবেন।
👉ক্লাসে শিক্ষক যা পড়াবে তা নোট
করবেন
👉গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় গুলো বেছে নিন
👉প্রতিটি অধ্যায়ের মূল থিম অর্থাৎ মূল ভাবটা বোঝার চেষ্টা করুন
👉পড়ার সময় হাইলাইট দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো দাগান
👉সূত্র ও সংজ্ঞা গুলো মুখস্ত করবেন
এবার চলুন পরীক্ষার হলে কিভাবে কাজ করলে আপনি ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন-
অনেক ক্ষেত্রে অনেকেই বহুনির্বাচনী প্রশ্ন না জানার ফলে আন্দাজে দাঁগিয়ে আসে তবে
এটা ঠিক না আন্দাজে হলেও যুক্তি নির্ভর তথ্য দাগানো উচিত। অবশ্যই প্রশ্নপত্র আগে
ভালোভাবে পড়ে নেওয়া উচিত।
আপনাকে জানাচ্ছি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় ও না পড়ে কিভাবে পরীক্ষায়
পাশ করব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
আরো পড়ুনঃ
কিশমিশ খেলে কি হয় ?
আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি হচ্ছে সেটি পরীক্ষার হলে আত্মবিশ্বাস ধরে
রাখতে হবে প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পরও যদি আপনি দেখেন আপনার কমন নেই সে ক্ষেত্রে
আপনি ধৈর্য হারাবেন না এবং বারবার প্রশ্নটি পড়বেন দেখবেন ইনশাল্লাহ আপনার সবকিছু
মনে পড়ে যাবে। নিজেকে বোঝাতে চেষ্টা করবেন যে আমি পারবো। এবার চলুন পরীক্ষায়
যেভাবে লিখলে বেশি নাম্বার পাবেন সেগুলো জানাই-
👉গুরুত্বপূর্ণ শব্দ বা তথ্য এর নিচে দাগ দিলে সেগুলা শিক্ষকের নজরে পড়তে
পারে
👉লেখার সময় পেরা পেরা অর্থাৎ অনুচ্ছেদ অনুচ্ছেদ করে লেখা উচিত
👉একদম সিরিয়াল অনুযায়ী গুছিয়ে লিখতে হবে
👉অবশ্যই মার্জিন ঠিক রাখতে হবে
👉হেডিং পয়েন্ট আকারে লিখবেন
👉যদিও আপনার হাতের লেখা খারাপ হয় তবুও চেষ্টা করবেন খাতা যেন কাটাকাটি না হয়
।
শেষ কথা
আপনি যদি পিছিয়ে পড়ে থাকেন সেক্ষেত্রে ভয় না পেয়ে আমার দেওয়া টিপসগুলো মেনে
চলুন দেখবেন আপনি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন কারণ আমি আপনাকে জানিয়েছি
পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় ও না পড়ে কিভাবে পরীক্ষায় পাশ করব সম্পর্কে
বিস্তারিত তথ্য।
আশা করি এ আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন এবং এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি
আপনার মনের ভেতরে থাকা সকল প্রশ্নের
উত্তর পেয়ে থাকেন
তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এইরকম তথ্য সম্বলিত ও
গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন ভিজিট করুন। ধন্যবাদ
.png)
.png)
.png)
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url